কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সবেক হুইপ ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, বিএনপি মুক্ত সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী। ৬০টি মিডিয়ার অনুমোদন দিয়ে বিএনপি দেশে উন্মুক্ত সাংবাদিকতার প্রসার ঘটিয়েছে। আর আওয়ামী লীগ সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে উন্মুক্ত সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ করার ইতিহাস রয়েছে। তিনি বলেন, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের জমি এবং ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের জমি বন্দোবস্তি দেয়ার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ২০০২ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নামমাত্র মূল্যে ১০০১ টাকায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবের জমি বন্দোবস্তি দিয়ে কক্সবাজারের সাংবাদিকদের সম্মানিত করেছেন। এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন কক্সবাজারের কৃতি সন্তান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ।
বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নির্বাচিত নতুন কমিটির সাথে এক মতবিনিময় সভায় শাহজাহান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
তিনি কক্সবাজারের উন্নয়নে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখার আহবান জানান।প্রেসক্লাব সভাপতি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত দৈনিক সৈকত সম্পাদক মাহবুবর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড শামীম আরা স্বপনা, প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আমিনুল হক চৌধুরী, আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এড. তাউহীদুল আনোয়ার, প্রেসক্লাব সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সিরাজুল হক, সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, প্রফেসর আক্তার চৌধুরী, পিপি মোশাররফ হোসেন টিটু, রুহুল কাদের বাবুল, এড. আবু ছিদ্দিক ওসমানী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জিনিয়া শারমিন রিয়া।
জেলা বিএনপির সম্পাদক এড. শামীম আরা স্বপ্না বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর এখন কিছু নব্য চাঁদাবাজ দখলবাজ সৃষ্টি হয়েছে। তারা জুলাই গণঅভূত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এসব চাঁদাবাজ দখলবাজ তার দলের হলেও তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আহবান জানান তিনি।